যৌ’নতা ঠিক রাখে মাথা! জানুন, কত বয়স পর্যন্ত নিয়মিত সে,ক্স দরকার

খামোখা ওষুধ খাওয়ার দরকার নেই। স্বাভাবিক পদ্ধতিতেই মস্তিষ্ক সতেজ রাখতে পারেন। কীভাবে? সে’ক্স!

বয়স ৫০ পেরিয়েছে? মনে হচ্ছে, অনেক কিছুই আজকাল মনে থাকছে না? যে কোনও কাজে একাগ্রতার অভাব ঘটছে? উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তা হলে তার দাওয়াই বাতলাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। নাহ্, খামোখা ওষুধ খাওয়ার দরকার নেই। স্বাভাবিক পদ্ধতিতেই মস্তিষ্ক সতেজ রাখতে পারেন। কীভাবে? সে’ক্স!

হ্যাঁ, ৫০ বছর বয়সের পরেও নিয়মিত যৌ’নসঙ্গম করুন। তাতে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়বে। ফলে, ভুলে যাওয়া, একাগ্রতার অভাব ইত্যাদি সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে।

৫০ থেকে ৮৩ বছর বয়স, এমন ৭৩ জনের উপরে সম্প্রতি গবেষণা চালান কভেন্ট্রি ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্য জার্নালস অফ জেরোন্টোলজি, সিরিজ বি: সাইকোলজিক্যাল অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস’ পত্রিকায়। ২৮ জন পুরুষ ও ৪৫ জন মহিলার উপরে এই গবেষণা চালানো হয়। ওই ৭৩ জনকে তিনটি দলে ভাগ করা হয়েছিল— যাঁরা এক বছরে সে’ক্স করেননি, যাঁরা মাসে একবার সে’ক্স করেছেন এবং যাঁরা সপ্তাহে একবার বা তার বেশি সে’ক্স করেছেন। দেখা গিয়েছে, সপ্তাহে একবার বা তার বেশি সে’ক্স করেছেন যে সব পুরুষ-মহিলা, তাঁদের কোনও কিছু মনে রাখার ক্ষমতা তুলনায় বেশি। একাগ্রচিত্তে কাজ করতে তাঁরা সক্ষম।

গবেষকরা জেনারেল রিজনিং নিয়ে যে সব প্রশ্ন করেছেন, তার উত্তরও চটপট দিয়েছেন এঁরা। গবেষকদের দাবি, এ থেকে একটা জিনিসই পরিষ্কার হয়। সেটা হল, ৫০ বছর বয়সের পরও যাঁরা সপ্তাহে একবার বা তার বেশি সে’ক্স করেন, তাঁদের মস্তিষ্ক বেশি কর্মক্ষম থাকে।

কিন্তু, এটা কী ভাবে সম্ভব হয়? গবেষকরা জানাচ্ছেন, যৌ’ন উত্তেজনার সময় শরীরে দু’টি হরমোন নির্গত হয়। একটি হল, ডোপামাইন। অন্যটি, অক্সিটোসিন। এই হরমোনগুলি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। তাই যত বেশি সে’ক্স করবেন, এই হরমোনগুলিও তত বেশি নির্গত হবে। ফলে, মস্তিষ্ক সতেজ থাকবে।

কভেন্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক হেইলি রাইট বলেন, “বয়স্ক মানুষদের যৌ’নজীবন থাকবে, এটা ভাবতে পছন্দ করে না আমাদের সমাজ। কিন্তু সমাজের এই গতানুগতিক ধারণাকে আমরা চ্যালেঞ্জ করতে চাই। ৫০ বছর বয়সের পরে সে’ক্স করলে মস্তিষ্ক সতেজ থাকার পাশাপাশি সার্বিকভাবে শরীর ও মন ভাল থাকে। অর্থাৎ বেশি বয়সে নিয়মিত সে’ক্সের সঙ্গে ভাল থাকার গভীর সম্পর্কও রয়েছে।’’